Saturday, June 8, 2013

পর্দার বিধান কি "নারীর উপর অত্যাচার" ?


Tag:   #JewishWoman #ResearchBD #Peace #বাইবেল #ইহুদী #খৃষ্টান #পর্দা


bible, woman,


 পর্দার বিধান কি "নারীর উপর অত্যাচার" ?
আসুন! আমরা পশ্চিমা বিশ্বে ইসলামে নারীদের উপর কঠোরতার প্রমান হিসেবে যে পর্দা বিধান নিয়ে আপত্তি তুলে সেটা সম্বন্ধে একটু দেখি। খৃষ্টান বা ইহুদী ধর্মে কি পর্দার কোন বিধান নেই? ইয়েশিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের "বাইবেল শিক্ষা" বিভাগের প্রফেসর ড. মিনাখিম এম. ব্রায়ার তার গ্রন্থ " ইহুদীদের আইনে ইহুদী মহিলা" তে লিখেছেন: "ইহুদী মহিলারা মাথা ঢেকে বাইরে যেতেন। মাঝে মাঝে তা একটি চক্ষু ছাড়া তাদের পুর্ণাংগ চেহারা ঢেকে ফেলত"।৭৬
তিনি তার কথার প্রমাণ দিতে গিয়ে পুর্ববর্তী বিখ্যাত ইহুদী পন্ডিতদের কথা নিয়ে এসেছেন। তন্মধ্যে- "ইয়াকুব (আঃ) এর কন্যাগণ মাথা খোলা রেখে রাস্তায় বের হতেন না"। ওই পুরুষের উপর লা'নত(অভিশাপ) যে তার স্ত্রীকে খোলা মাথায় রাস্তায় ছেড়ে দেয়। কোন মহিলা সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্যে মাথার চুল ছেড়ে দিলে তা দারিদ্রতার কারণ হয়"। ইহুদী পন্ডিতদের আইন অনুযায়ী বিবাহিত মহিলার উপস্থিতিতে (যে তার চুল অনাবৃত রেখে দিয়েছে) নামাজের ভিতরে বা বাইরে ধর্মগ্রন্থ আবৃত্তি করা নিষিদ্ধ। মাথা অনাবৃত রাখাকে উলংগ হিসেবে গণ্য করা হয়।৭৭
প্রফেসর ড.মিনাখিম এম. ব্রায়ার আরো বলেন: " টান্নাইটিক যুগে যে সমস্ত ইহুদী মহিলা মাথা অনাবৃত রাখত তাদেরকে বেহায়া হিসেবে গণ্য করে ৪০০ দিরহাম করে জরিমানা করা হত"। তিনি আরো বলেনঃ ইহুদীদের এই হিজাব (পর্দা) শুধুমাত্র তাদের ভদ্রতারই পরিচায়ক হত না বরং, এটা বিলাসিতা ও পার্থক্যকারী বিবেচিত হত। হিজাব পরলে বুঝা যেত যে, এ মহিলা ভদ্র,উচ্চ বংশীয় এবং সে স্বামীর অধিকারভুক্ত পণ্য নয়।৭৮
হিজাব মহিলার সামাজিক মর্যাদারই পরিচয় বহন করে এবং তার মর্যাদাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মহিলারা হিজাব পরত যেন তাদেরকে উচ্চ বংশীয়দের মত দেখায়। হিজাব ভদ্রতার পরিচায়ক হওয়ার কারণে পুরাতন ইহুদী সমাজে ব্যভিচারী মহিলাদের হিজাব পরিধানের অনুমতি ছিল না। তাই, নিজেদেরকে সতী প্রমান করতে তারা বিশেষ ধরণের স্কার্ফ ব্যবহার করত।৭৯ 
ইউরোপের ইহুদী মেয়েরা উনবিংশ শতাব্দীতে তাদের জীবন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সাথে মিশে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পর্দা মেনে চলত। ইউরোপের সমাজব্যবস্থা অনেককে পর্দা খুলতে বাধ্য করেছে। অনেক ইহুদী নারী তাদের মাথায় পরচুলা লাগিয়ে মাথাকে সুন্দরভাবে প্রদর্শন করার চেয়ে পর্দা বিধান পালন করাকে উত্তম মনে করেন। কিন্তু, এখন অধিক ধার্মিকা ইহুদী নারীরা তাদের উপাসনালয় ছাড়া অন্য কোথাও চুল ঢেকে রাখেন না।৮০
তাদের কেউ কেউ এখনও পরচুলা ব্যবহার করে থাকেন।৮১

খৃষ্টানদের বিশ্বাস কি আসুন সেটা জেনে নিই। এটা প্রসিদ্ধ যে, ক্যাথলিক খৃষ্টান যাজক মহিলাগন শত শত বছর ধরে পর্দা বিধান মেনে চলছেন। পর্দা সম্বন্ধে নতুন নিয়মে (new testament) পোল বলেছিলেন: " আমি চাই তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, প্রত্যেক পুরুষের মাথাই যীশু। আর প্রত্যেক মহিলার মাথাই পুরুষ এবং যীশুর মাথা যেন স্রষ্ঠা। কোন পুরুষ ইবাদত বন্দেগী করা অবস্থায় তার মাথায় কিছু থাকলে তার মাথাকে অপদস্থ করা হবে। পক্ষান্তরে, কোন মহিলা খালি মাথায় ইবাদত বন্দেগী করলে তার মাথাকে অপদস্থ করা হবে। মাথাকে অপদস্থ করা মানে মাথার চুল কামিয়ে দেয়া। অতএব, কোন মহিলা মাথা ঢেকে না রাখলে তার মাথার চুল কামিয়ে দিতে হবে। যদি কোন মহিলার জন্য তার মাথার চুল কামিয়ে ফেলা অপমানজনক মনে হয়; তাহলে সে যেন তার মাথা ঢেকে রাখে। আর পুরুষের মাথা স্রষ্ঠার প্রতিচ্ছবি হওয়ার কারণে মাথা ঢেকে রাখা উচিত নয়। মহিলারা স্বামীর সন্মানের প্রতিচ্ছবি। কারণ, পুরুষ মহিলা থেকে নয় বরং, মহিলা পুরুষ থেকে। পুরুষ মহিলার জন্য সৃজিত হয় নাই বরং, মহিলা পুরুষের জন্য সৃজিত হয়েছে। তাই, ফেরেশতার খাতিরেই তার মাথার উপরে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।(১,করিন্থিয়ান্স:১১/৩-১০) 
পোলের পর্দা বিধান ঘোষণার মূল কারণ হচ্ছে- স্রষ্ঠারুপী পুরুষের সন্মান রক্ষা করা। কেননা,পুরুষ থেকে এবং পুরুষের জন্যেই তার জন্ম হয়েছে। বিশিষ্ট ধর্ম যাজক টারটোলিয়ান তার বিখ্যাত গ্রন্থ " নারীর পর্দা" তে লিখেছেন: নারীদের উচিত রাস্তাঘাট, গীর্জা, নিজ ভাতৃবর্গ ও বেগানা পুরুষদের সামনে হিজাব (পর্দা) পরিধান করা। বর্তমানেও ক্যাথলিক খৃষ্টানদের নিয়ম হচ্ছে- মহিলাগন গীর্জার ভিতরে অবশ্যই তাদের মাথা ঢেকে রাখবে।৮২ 
আমিশ, মিনোনাইট প্রমুখ খৃষ্টানগণ আজও হিজাব পরিধান করে থাকেন। পর্দা সম্বন্ধে গীর্জার পাদ্রীগণ বলে থাকেন যে, "পর্দা হল নারীর স্বামীর প্রতি আনুগত্য ও স্রষ্টার আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ। এ কথাটা নতুন নিয়মে (new testament) পোল নিজেই বলে গেছেন। -----  Source 

No comments:

Post a Comment