গতরাত্রে ছাত্রশিবিরের এক সাথীকে জিজ্ঞেস করলাম, "গণতন্ত্রের উদ্ভাবক কে??"
তিনি অকপটে উত্তর দিলেন, "হযরত মুহাম্মদ (সা.)"।
অবাক হলাম।
পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, "তাহলে আমেরিকা-ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি গণতন্ত্রে এত বিশ্বাসী কেন??"
তিনি চুপ হয়ে গেলেন।
*মিশরে কথিত আরব বসন্তের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বের বড় ভাই আমেরিকা তখনই রাজি হয়ে যায়, যখন মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছিল যে, তারা 'গণতান্ত্রিক' উপায়ে দেশ চালাবে।
* আবার আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা শুরু হয় তখনই, যখনই গণতন্ত্রের অবিসংবাদী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বে মিয়ানমারে গণতন্ত্র এলো।
*গণতন্ত্র আবার ব্যক্তি-স্বাধীনতার কথা বলে। গণতান্ত্রিক দেশে একজন নারীকে হিজাব পরিধানে যেমন বাধ্য করা যাবে না, ঠিক তেমন করে হিজাব পরিধানকারী কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না, তাত্ত্বিকভাবে।
আজকে যদি আমার এই গণতান্ত্রিক দেশে কোথাও কাউকে হিজাব পরিধানে বাধ্য করা হতো, তাহলে মানবাধিকার নেতা-কর্মীগণ এবং গণতন্ত্রমনা সুশীল সমাজ গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রাস্তায় নেমে গলা ফাটাতেন, চোখের পানি ফেলতেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পদদলিত হয়েছে বলে লাখো শহীদকে ডাক পাঠাতেন।
কিন্তু আজ যখন উদয়ন হাই স্কুলে ছাত্রীদের জামার হাতা কেটে নেয়া হলো এবং একই সাথে একই রকম পোশাক পরিধানে 'গণতান্ত্রিক' হুমকি দেওয়া হলো ছাত্রীদেরকে, তখন মানবাধিকার মাজানুর নহমান ও চুলতানা কামালা নাজিয়া কই??? মানবাধিকার-গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না--- সেটা জানতে চেয়ে উনাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো নিশ্চিত মানবাধিকার লঙ্ঘন!!!
স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে যে যার মত ঘুমাবে; নইলে যে গণতন্ত্র-স্বাধীনতা বিফলে যাবে!!!
মানবাধিকার কর্মী বলে কি হয়েছে?? মানুষ হিসেবে উনাদেরও অধিকার আছে স্বাধীন-গণতান্ত্রিক দেশে ঘুমোবার!!!
## ফাইনালি যা বলবো, আজকের মিজান-সুলতানা মার্কা যে মানবাধিকার সারা বিশ্ব-জুড়ে আছে, তার সবটুকুই গণতন্ত্র রক্ষা ও ইসলাম নির্মূলে।
গণতন্ত্র আর মানবাধিকার যদি অকপট কিছু হতোই, তবে আমাদের গণতন্ত্রমনা সুশীল সমাজ উদয়ন হাই স্কুলের ঘটনা নিয়েও সোচ্চার হতো।
গণতন্ত্র আর তার লেজুড় মানবাধিকার আসলে একটা কপটতা ও ধূর্ততার নাম।
- রাসেল পারবেজ
Source
তিনি অকপটে উত্তর দিলেন, "হযরত মুহাম্মদ (সা.)"।
অবাক হলাম।
পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, "তাহলে আমেরিকা-ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি গণতন্ত্রে এত বিশ্বাসী কেন??"
তিনি চুপ হয়ে গেলেন।
*মিশরে কথিত আরব বসন্তের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বের বড় ভাই আমেরিকা তখনই রাজি হয়ে যায়, যখন মুসলিম ব্রাদারহুড বলেছিল যে, তারা 'গণতান্ত্রিক' উপায়ে দেশ চালাবে।
* আবার আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা শুরু হয় তখনই, যখনই গণতন্ত্রের অবিসংবাদী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বে মিয়ানমারে গণতন্ত্র এলো।
*গণতন্ত্র আবার ব্যক্তি-স্বাধীনতার কথা বলে। গণতান্ত্রিক দেশে একজন নারীকে হিজাব পরিধানে যেমন বাধ্য করা যাবে না, ঠিক তেমন করে হিজাব পরিধানকারী কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না, তাত্ত্বিকভাবে।
আজকে যদি আমার এই গণতান্ত্রিক দেশে কোথাও কাউকে হিজাব পরিধানে বাধ্য করা হতো, তাহলে মানবাধিকার নেতা-কর্মীগণ এবং গণতন্ত্রমনা সুশীল সমাজ গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রাস্তায় নেমে গলা ফাটাতেন, চোখের পানি ফেলতেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পদদলিত হয়েছে বলে লাখো শহীদকে ডাক পাঠাতেন।
কিন্তু আজ যখন উদয়ন হাই স্কুলে ছাত্রীদের জামার হাতা কেটে নেয়া হলো এবং একই সাথে একই রকম পোশাক পরিধানে 'গণতান্ত্রিক' হুমকি দেওয়া হলো ছাত্রীদেরকে, তখন মানবাধিকার মাজানুর নহমান ও চুলতানা কামালা নাজিয়া কই??? মানবাধিকার-গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না--- সেটা জানতে চেয়ে উনাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো নিশ্চিত মানবাধিকার লঙ্ঘন!!!
স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে যে যার মত ঘুমাবে; নইলে যে গণতন্ত্র-স্বাধীনতা বিফলে যাবে!!!
মানবাধিকার কর্মী বলে কি হয়েছে?? মানুষ হিসেবে উনাদেরও অধিকার আছে স্বাধীন-গণতান্ত্রিক দেশে ঘুমোবার!!!
## ফাইনালি যা বলবো, আজকের মিজান-সুলতানা মার্কা যে মানবাধিকার সারা বিশ্ব-জুড়ে আছে, তার সবটুকুই গণতন্ত্র রক্ষা ও ইসলাম নির্মূলে।
গণতন্ত্র আর মানবাধিকার যদি অকপট কিছু হতোই, তবে আমাদের গণতন্ত্রমনা সুশীল সমাজ উদয়ন হাই স্কুলের ঘটনা নিয়েও সোচ্চার হতো।
গণতন্ত্র আর তার লেজুড় মানবাধিকার আসলে একটা কপটতা ও ধূর্ততার নাম।
- রাসেল পারবেজ
Source
No comments:
Post a Comment